– আমার দুঃখ হয় কিশোরগঞ্জের সাহিত্য-সংস্কৃতির কার্যক্রমের নেতৃবৃন্দের প্রতি। সাহিত্য-সংস্কৃতির কর্মে নেতৃত্ব দেবার যাদের যোগ্যতা রয়েছে তারা জড়িয়ে পড়েছে আত্মকেন্দ্রিক প্রবণতার বেড়াজালে। সহিত শব্দ থেকে সাহিত্যের উৎপত্তি বিশ্লেষণে যে চরিত্র আমাদের হওয়া দরকার ছিল তা না হয়ে খন্ড-বিখন্ড গোষ্ঠিতে পরিণত হয়েছে। দূর থেকে দূরত্বে অবস্থান করার প্রতিযোগিতায় প্রথম হবার কসরত চলছে। কেউ বলছে “একমাত্র সাহিত্য সংগঠন আমাদেরটা” কেউবা বলছে “মুক্তিযুদ্ধের চেতনার লেখক আমিই বা আমরাই” যদিও তাদের অনুষ্ঠানের কোনো এক পর্বের সভাপতিত্ব করেন চিহ্নিত ও প্রমাণিত রাজাকারের প্রজন্ম স্বাধীনতাবিরোধী কোনো এক সাংবাদিক। সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে বিভক্তির গ্যাঁড়াকলে পড়েছে সাংস্কৃতিক কর্মীরাও। জাতিগতভাবে ভিন্ন সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্য বা আচার আচরনের সমন্বয়ক সূত্রের অনুপস্থিতি আমাদেরকে করেছে হতাশ। যার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলে। যা থেকে মুক্ত নই আমাদের কিশোরগঞ্জও। কী সাহিত্য, কী সংস্কৃতি, কী সাংস্কৃতিক কর্মযজ্ঞ, কী শিল্পকলা, কী রাজনীতি, কী ধর্মতান্ত্রিক, কী শিক্ষা, কী-ই বা রাষ্ট্রযন্ত্রের লক্ষ্য স্থিরতায় আমরা হত-বিহ্বল। তার শতধা বিভক্তির প্রভাব বলয় থেকে আমাদের কিশোরগঞ্জ এলাকাও আবদ্ধ। সমন্বয়ক ঐক্যের নেতৃত্ব ও যোগ্যতার গুণাবলী অনেকের মাঝে বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও আত্মকেন্দ্রিকতা, অহমিকাবোধ, নিজ বা নিজ গোষ্ঠীর প্রাধান্য বিস্তারে অন্ধ হয়ে আছে সবাই। এ রাহু থেকে মুক্ত হবার নিষ্কলুষ, প্রজ্ঞাবান আলোকবর্তিকা স্বরূপ যোগ্য ব্যক্তিত্ব এ মূহুর্তে বিশেষ প্রয়োজন।
নতুন নেতৃত্বের কোনো প্রয়োজন নেই, যদি আমাদের কিশোরগঞ্জের নেতৃবৃন্দরা পরিশুদ্ধ হন। আমি তা-ই চাই। কিশোরগঞ্জের সাহিত্য-সংস্কৃতির লোকজনের মাঝে নেতৃত্বের যোগ্যতা রয়েছে। এ বিশ্বাস আমার আছে। জাতীয় বিভক্তি যা-ই হোক অাঞ্চলিক ঐক্যের সুদৃঢ় বন্ধন রচনায় আমাদের কিশোরগঞ্জের যোগ্যতাসম্পন্ন নেতৃত্বে সমন্বয়ক আদল ফিরে আসুক এটাই আমার কাম্য।এতে আমার যোগ্যতা অনুপস্থিত বিধায় আমি অন্যদের অনুসারী হয়ে থাকতে চাই। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
“”””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””
রেজাউল হাবিব রেজা
✍️লেখক-ন্যাশান্যাল এনসাইক্লোপিডিয়া অব বাংলাদেশ প্রজেক্ট বাই এশিয়াটিক সোসাইটি।
✍️ব্র্যাকমিডিয়া অ্যাওয়ার্ড অর্জনকারী
২০০৮ ও ২০১৪।
✍️লেখক- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল স্মারক।
লিখনঃ ২৩মার্চ-২০২৩ খ্রিঃ বৃহস্পতিবার, সকাল-৮ঘটিকা।
Leave a Reply